পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান তাঁর ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক শক্তিশালী বার্তা প্রকাশ করেছেন, যা ভারত-পাকিস্তানের চলমান উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।
বার্তায় ইমরান খান বলেন, “একটি দেশ, যা তার প্রতিবেশীর চেয়ে সাত গুণ ছোট, স্বাধীনতা রক্ষার জন্য একটি কঠিন সিদ্ধান্তের মুখোমুখি। হয় হার মানতে হবে, অথবা স্বাধীনতা রক্ষার জন্য মৃত্যুর সাথে লড়াই করতে হবে। আমি নিজে এই প্রশ্নটি নিজেকে করেছি, এবং আমার বিশ্বাস হলো, ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’—একমাত্র আল্লাহই মহান। আমরা লড়াই করবো!”
এই বক্তব্যে তিনি ব্যক্তিগতভাবে তাঁর আত্মপ্রত্যয়ের কথা তুলে ধরেন এবং পাকিস্তানের নাগরিকদের একটি আদর্শিক ও ধর্মীয় বার্তা দেন, যা স্বাধীনতা ও আত্মসম্মানের প্রশ্নে কোনো ধরনের আপস না করার আহ্বান বলে ব্যাখ্যা করা হচ্ছে।
ইমরান খান আরও বলেন, “যখন পরমাণু অস্ত্রধারী একটি দেশ শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত লড়াই করে, তার প্রভাব কেবল সীমান্তের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে না। এর পরিণতি পৃথিবীজুড়ে অনুভূত হবে। এই কারণে আমি বারবার বলছি—এখানে এসেছি, আপনাদের সতর্ক করতে।”
তাঁর এই বক্তব্যে একটি পরোক্ষ হুঁশিয়ারি রয়েছে, যেখানে তিনি বোঝাতে চেয়েছেন, ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে যেকোনো সামরিক সংঘাত শুধু দুই দেশের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে না, বরং তা বৈশ্বিক নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার উপর গুরুতর প্রভাব ফেলতে পারে।
এই বার্তাটি এমন এক সময় এসেছে, যখন ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে রাজনৈতিক ও কৌশলগত উত্তেজনা চরমে। সীমান্তে সামরিক তৎপরতা, কূটনৈতিক উত্তেজনা এবং জাতীয়তাবাদী বক্তব্য উভয় পক্ষ থেকেই উচ্চারিত হচ্ছে।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ইমরান খানের এই বার্তা অভ্যন্তরীণ রাজনীতি ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে উদ্দেশ্য করে দেওয়া একটি কৌশলগত প্রচেষ্টা, যার মাধ্যমে তিনি বর্তমান পরিস্থিতিকে তুলে ধরতে চেয়েছেন একটি বৈশ্বিক সংকট হিসেবে।
ইমরান খানের এই সতর্কবার্তা বিশ্ব নেতৃবৃন্দের নজর কাড়ছে। তাঁর বক্তব্যে থাকা ধর্মীয়, আদর্শিক ও কৌশলগত বার্তাগুলো দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কের আগামী গতিপথ কী হবে, সেটাই এখন আন্তর্জাতিক মহলের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে।
তথ্যসূত্র: দৈনিক জনকণ্ঠ